মোটা হওয়ার জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন দশটি খাবার
আমাদের দেশে সঠিক মানের সুষম খাবারের অভাবে অনেক মানুষের স্বাস্থ্য খুব চিকন। চিকন স্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় অবহেলা ও অবজ্ঞার শিকার হয়ে থাকে। এই বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকেন। মোটা হওয়ার জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন দশটি খাবার এর কথা নিচে তুলে ধরা হলো ।
১। কিসমিসঃ
মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর খাবার হচ্ছে কিসমিস। কিসমিস আঙুর ফলের শুকনা রূপ। যা তৈরী হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। কিসমিস সহজেই হজমযোগ্য।
ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিংক, লৌহ, ফ্লোরাইড, পটাশিয়াম, ফোলাট, নিয়াসিন, কোলিন, ভিটামিন বি-৬ এবং রিবোফ্লাবিন জাতীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে কিসমিসে। যা রাতে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের শক্তি, ওজন বৃদ্ধি ও মোটা হওয়া নিশ্চিত।
২। খিচুড়িঃ
খিচুড়িতে বিদ্যামন বিদ্যমান কার্বোহাইড্রেড ও প্রোটিন মোটা হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। খিচুড়ি তৈরীর অন্যতম উপাদান ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-সি, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, খাদ্যআঁশ ও অ্যামাইনো এসিড।
খিচুড়ি রান্নার সাথে বিভিন্ন ধরণের সবুজ সবজি দেয়া যায় তাহলে খাবারটি সুষম হয়। তাই খিচুড়ি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন মোটা হওয়ার অন্যতম খাবার।
৩। আলুঃ
আলু আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তরকারির সাথে রান্না করে খাই। আলু সেদ্ধতে রয়েছে শর্করা, তন্তু, খনিজ লবন, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আলু থাকলে মোটা হওয়া অবশ্যম্ভাবী। প্রতিদিন দুটি করে আলু সেদ্ধ খেলেও মোটা হয়া যায়। যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটি খাবার।
৪। ডিমঃ
ডিম সহজীয়া একটি খাবার। ডিম সেদ্ধ, রান্না, ভাজি, পুজ করেও খেতে পারেন। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, যা আপনাকে মোটা হতে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। যা আপনাকে মোটা ও শক্তিশালী করে তুলবে।
৫। বাদামঃ
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-থ্রি, ফ্যাটি এসিড, ক্যালরি, ফাইবার, প্রোটিন এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার। যা খেলে শরীরের ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬। ভাত ও ভাতের ফ্যানঃ
সমাজ ও সংস্কৃতির কারণে ভাত আমাদের সবচেয়ে পরিচিত ও নিয়মিত খাবার। ভাতে প্রচুর কার্বো-হাইড্রেড রয়েছে। যা আমাদের মোটা হওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে ভাতের চেয়ে ভাতের ফেন (অঞ্চলভেদে মাড় বলে) মোটা হতে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭। শাক-সবজি ও আঁশ জাতীয় খাবারঃ
শাক-সবজি ও আঁশ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় নিয়মিত খেলে সুস্বাস্থ্য ও শক্তিবৃদ্ধি করাসহ মোটা হতে সাহায্য করে থাকে।
৮। ফলমূলঃ
নিয়মিত আপেল, নাশপাতি, আঙুর, কলা ইত্যাদি ফলমূল খেলে শরীরে শক্তি যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি মোটা হতেও সাহায্য করবে।
৯। মাছঃ
মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও উৎকৃষ্ট আমিষ। মাছে শতকরা ১৫-২৫ ভাগ প্রোটিন। এছাড়াও মাছে রয়েছে আ্যমাইনো এসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ- ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশ, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’। যা মোটা হতে সাহায্য করে।
১০। দুধ ও মধুঃ
দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন। এগুলো শরিরকে মোটা বানাতে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত মধু খেলেও শরীর মোটা হতে পারে। কারণ মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, মন্টোজ, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবন, এনকাইম, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫ ও বি৬। এছাড়াও রয়েছে আয়োজিন, জিংক, কপার ও ক্যালরি। মোটা হওয়ার জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন দশটি খাবার নিয়মিত খেলে আপনিও কাঙ্ক্ষিত ওজন লাভ করতে পারবেন ।
এইসকল খাবার নিয়মিত খাওয়ার পর ও যাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না তাদের জন্য কি করতে পারি?
ডায়েটিশিয়ান বা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
Ai gulo khele confirm mota hobo to?