ক্যান্সারকে আমরা একটি মরণব্যাধি হিসেবেই চিনি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ মারা যায় ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে। ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করালে এ রোগে মৃত্যু ঝুঁকি অনেক কমে যায় এবং রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। কিন্তু অনেকে এ রোগের লক্ষণ বুঝতে পারে না বা বুঝেও অজ্ঞতার কারণে চিকিৎসা করান না।
ফলে এটি ধীরে ধীরে মরণঘাতী হয়ে উঠতে থাকে। কিন্তু এসব অজ্ঞতা থেকে মুক্ত হতে গেলে এ রোগ সম্পর্কে জানা জরুরী। এ রোগের লক্ষণ কি কিংবা কিভাবে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায় এ সব বিষয় নিয়েই আমরা আজ আলোচনা করবো।
ক্যান্সার কি?
মানবদেহ অসংখ্য ছোট ছোট কোষের সমন্বয়ে গঠিত। এই কোষগুলোর মতোই একটি কোষ হল ক্যান্সার, কিন্তু এই কোষ অন্য কোষগুলোর মতো সাধারণ কোষ নয়। ক্যান্সারের কোষ অন্য কোষের চেয়ে অস্বাভাবিক কার্য করে এবং এর আকারও অস্বাভাবিক হয়। অজ্ঞাত কারণেই মানবদেহের কোনো কোষ হঠাৎ করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজন হতে শুরু করে এবং তা চলতেই থাকে। ফলে এক সময় এটি পিন্ড বা টিউমারে পরিণত হয়। আর এই পিন্ড বা টিউমারটিই হয় ক্যান্সার।
কেন হয় ?
ক্যান্সার কেন হয় এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ পাওয়া যায় নি। তবে ধারণা করা হয় বংশগত কারণ কিংবা ধূমপানের কারণে ক্যান্সার হয়। এছাড়াও ক্রনিক ইনফেকশন, কিডনিতে পাথর, পিত্তথলির পাথর, বিভিন্ন রেডিয়েশন ইত্যাদি কারণে ক্যান্সার হতে পারে। এসব কারণ থেকে দূরে থাকতে পারলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে থাকেন।
ক্যান্সার এর বিভিন্ন ধরণ
ক্যান্সার একটি মারাত্মক ব্যধি। এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কোলন, ব্লাড, স্তন, ফুসফুসের, লিভার ইত্যাদি নানাবিধ অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে। এ সকল ক্যান্সার নিয়েই এবার জানবো।
ক) জরায়ু ক্যান্সার
জরায়ু হল একটি শ্রোণী অঙ্গ যা ভ্রূণের বিকাশ ঘটায়। এন্ডোমেট্রিয়াল নামে এক ধরনের ক্যান্সার হয় যা মূলত জরায়ুতে হয়। এটিই জরায়ু ক্যান্সার নামে পরিচিত। জরায়ু সারকোমা সহ আরও অন্য ধরনের ক্যান্সারও জরায়ুতে হতে পারে তবে মূলত এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারই বেশি হয়।
জরায়ু ক্যান্সার হলে জরায়ুর সমস্যাসহ নানাবিধ সমস্যা হয়। গবেষকরা মনে করেন মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই রোগ হয়। এছাড়াও বিভিন্ন জিনগত কারণেও এই রোগ হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন।
খ) স্তন ক্যান্সার
ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম ও মারাত্মক হল স্তন ক্যান্সার। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে দিন দিন বেড়ে চলেছে। স্তন বা এর আশেপাশের কিছু কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে হঠাৎ করে বেড়ে গেলে তা টিউমারে রূপান্তরিত হয় এবং এই টিউমার রক্তনালীর মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাই হল মূলত স্তন ক্যান্সার।
নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। বংশগত কারণ কিংবা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে এই রোগ হতে পারে। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখলে এই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রন পিল বা ওষুধ খাওয়া কিংবা হরমোনের জন্য কোনো ওষুধ খেলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গ) কোলন ক্যান্সার
বৃহদন্ত্র ও মলাশয়ের ক্যান্সারই কোলন ক্যান্সার নামে পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। পরিবেশ ও জিনগত কারণেই এই রোগ হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসও এ রোগের একটি বড় কারণ। বেশি পরিমাণে গরু, খাসির মাংস এসব খাওয়া, আঁশজাতীয় খাবার না খাওয়া, ধূমপান ইত্যাদি এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থূল বা মোটা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই এ রোগের প্রবণতা দেখা যায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী। পাশাপাশি পারিবারিক ইতিহাস থেকেও এ রোগ হতে পারে। যাদের পরিবারে পূর্বে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই তারা আগে থেকে সতর্ক থাকা উচিৎ।
ঘ) ব্লাড ক্যান্সার
ক্যান্সারের আরেকটি ধরণ হল ব্লাড ক্যান্সার। রক্তের মধ্যে রয়েছে লোহিত রক্ত কণিকা ও শ্বেত রক্ত কণিকা। রক্তে থাকা এই শ্বেত রক্ত কণিকা যখন অস্থিমজ্জা বা রক্তে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় তখন এটিকে ক্যান্সার বলা হয়।
এই রোগের কোনো কারণ এখনো শনাক্ত করা যায় নি। তবে ধারণা করা হয়, রেডিয়েশন, ক্ষতিকর কেমিক্যাল, ভেজাল খাবার, কেমোথেরাপি ড্রাগস, লুব্রিকেন্টস, বার্নিশ ইত্যাদি এবং কিছু জিনগত কারণে এটি হয়ে থাকে। মূলত কেমোথেরাপির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। অনেকে মনে করেন এই রোগ হলে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু আসলে তা নয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে রোগী এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
ঙ) লিভার ক্যান্সার
লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার লিভার ক্যান্সার হিসেবে পরিচিত। যেকোনো বয়সেই এ রোগ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে নারীদের তুলনায় এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা বেশি। সাধারণত এ রোগ হওয়ার আগে প্রথমে রোগীর লিভারে সিরোসিস দেখা দেয়। তবে সব ক্ষেত্রেই যে এমনটি হয় তা কিন্তু না।
এই রোগ হলে রোগীর পেটের ডান পাশ থেকে বুক বরাবর ব্যথা হয়। এই ব্যথা ক্ষীণ কিংবা তীব্র হতে পারে। এছাড়া রোগীর ওজন কমে যাওয়া, সহজেই ক্লান্তি ভাব চলে আসা, পেট ফাঁপা, জ্বর অনুভূত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের টিকা দেওয়া থাকলে এবং টিকা দেওয়ার সময় নতুন সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে ও সতর্কতা অবলম্বন করলেই এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
চ) প্রোস্টেট ক্যান্সার
ক্যান্সারের অন্যতম মারাত্মক একটি ধরন হল প্রোস্টেট ক্যান্সার বা মূত্রথলির ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে মৃত্যু ঝুঁকি অনেক। তবে প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ শনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা করালে রোগী সুস্থ হয়ে যেতে পারে। আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মতে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এ রোগ হলে প্রস্রাবে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া মূত্রত্যাগের গতি কমে যায়। এছাড়া প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, তলপেটে ব্যথা এসব হয়। পাশাপাশি মেরুদণ্ড বা হাড়েও ব্যথা হতে পারে৷ এ সকল লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। প্রাথমিকভাবে ভালো চিকিৎসা পেলে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ছ) থাইরয়েড ক্যান্সার
মানুষের ঘাড়ের নিচে থাকা একটি গ্রন্থি হল থাইরয়েড, যা দেহের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ও হরমোন তৈরি করে। এছাড়াও হার্টের কার্যকলাপ, শক্তির ব্যবহার, রক্তচাপ, তাপ উৎপাদন এবং অক্সিজেন গ্রহণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে সাহায্য করে এই গ্রন্থি। থাইরয়েডে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে তা থেকে টিউমার ও ক্যান্সার হয়।
এই রোগ হলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এছাড়াও গলা ব্যথা, গলা ফুলা, গিলতে অসুবিধা, ঘাড়ের সামনের অংশে ব্যথা ও সংক্রমণ ইত্যাদি দেখা দেয়। এ সকল সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায় ততই ভালো। প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা নিলে রোগ নির্মূল করা সম্ভব।
জ) ফুসফুস ক্যান্সার
সবচেয়ে মারাত্মক ও ভয়াবহ ক্যান্সারের একটি হল ফুসফুসের ক্যান্সার। মারাত্মক এই রোগ শুরুতে শনাক্ত করা না গেলে মৃত্যু অবধারিত। তাই এ রোগ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরী।
এই রোগ দেখা দিলে কাশি, সর্দি, ঠান্ডা এসব সমস্যা লেগেই থাকবে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট দেখা দিবে। এছাড়াও বুকে ব্যথা, মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিবে। এসব সমস্যা দেখা দিলে গাফিলতি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সময় মতো চিকিৎসা না করা হলে এ রোগ হলে রোগীকে বাঁচানো অসম্ভব।
ঝ) গলার ক্যান্সার
গলার ক্যান্সার মূলত শ্বাসনালী, শ্বাসযন্ত্র ও অন্ননালীর টিউমার থেকে হয়ে থাকে। দেহের অন্য অংশের টিউমার থেকেও এটি হতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ রোগ হলে গলা ব্যথা হয়।
এছাড়াও এ রোগ হলে দীর্ঘদিন গলা ব্যথার পাশাপাশি কাশি, গিলতে গেলে ব্যথা পাওয়া, শ্বাস নেওয়ার সময় গলায় ঘড়ঘড় আওয়াজ হওয়া, গলার স্বর ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া কাশি, কাশির সাথে রক্ত যাওয়া, রক্তবমি এসব সমস্যাও হয়। এ সকল সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্যান্সারের পরীক্ষা করানো উচিৎ।
ক্যান্সার এর লক্ষণ
ক্যান্সার হলে আপনার শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দিবে। এ সকল লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আসুন জেনে নিই ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ।
- দ্রুত ওজন কমতে শুরু করলে এটি ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে।
- দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক অবসাদ কাজ করে ও ক্লান্তি লাগে।
- শরীরের কোনো স্থানে দীর্ঘ দিন যাবত ব্যথা করলে এবং কোনো ওষুধেও যদি তা না কমে তা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
- শরীরের কোনো কোনো স্থানে অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড দেখা দিতে পারে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। ঘন ঘন জ্বর উঠে এবং জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হয়।
- ত্বকে অতিরিক্ত তিল বা আঁচিল দেখা দেয়। পাশাপাশি এই তিল বা আঁচিল অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে।
- দীর্ঘদিন ধরে একটানা কাশি থাকে এবং কাশির সাথে বুক ব্যথা, গলা ব্যথা এসবও দেখা দেয়।
- ঘন ঘন মল মূত্র ত্যাগের অভ্যাস হয় এবং ঘন ঘন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। পাশাপাশি মুত্র ত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা হয়।
- কাশির সময় কফের সাথে অকারণেই রক্তক্ষরণ হয়।
- এছাড়া পা ফুলে যেতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভবিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে দেরী না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে বেশিরভাগ সময়েই এর নিরাময় ও চিকিৎসা সম্ভব।
ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
ক্যান্সার কেন হয় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনো নিশ্চিত নন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন জেনে নিই ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় কি।
- ক্যান্সার প্রতিরোধের প্রথম শর্তই হচ্ছে ধূমপান করা যাবে না। ধূমপান থেকে বিরত থাকলে এ রোগের ঝুঁকি বহুলাংশেই কমে যায়।
- জর্দা, গুল ও এ জাতীয় পণ্য পরিহার করা উচিৎ।
- প্রতিদিন নিয়ম মাফিক ব্যায়াম করা। কমপক্ষে আধা ঘন্টা হাঁটা ও ব্যায়াম করা উচিৎ।
- বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে পারেন।
- বংশগত ভাবে অতীতে কারও হয়ে থাকলে নিয়মিত ক্যান্সার পরীক্ষা করান।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিৎ ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- সকল ধরনের মাদকদ্রব্য পরিহার করে চলুন।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চললে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা ভালো।
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে নিয়ম মাফিক জীবনযাপন খুবই জরুরী। এর পাশাপাশি কিছু পুষ্টিকর খাবারও রাখা উচিৎ আপনার খাদ্য তালিকায়। শাক-সবজি, ফলমূল এসব খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত সবুজ শাকপাতা রাখুন। পাশাপাশি বেশি পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেতে পারে। কাঁচা হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও অর্গানিক বা প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বেড়ে উঠা গরু, খাসি, ভেড়া কিংবা মুরগীর মাংস খান। প্রচুর পানি পান করুন। পাশাপাশি দুগ্ধজাত খাদ্য টক দই, পনির এসব রাখুন খাদ্য তালিকায়। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যুক্ত ফল খান। এসব খাবার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখলে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাবে বহুগুণে।
পরিশেষে-
ক্যান্সার কতটা জটিল ও মারাত্মক রোগ তা আমরা সবাই জানি। এ রোগ হওয়ার যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই তাই এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। পাশাপাশি ধূমপান, মদ্যপানের মতো বদঅভ্যাস পরিহার করা উচিৎ। নিয়ম মাফিক চললে আপনার জীবন হবে সুন্দর ও ক্যান্সার মুক্ত।
তথ্যসূত্রঃ
- https://www.cancer.org/
- https://www.cancer.gov/about-cancer/understanding/what-is-cancer
- https://www.medicinenet.com/cancer/article.htm
ধ্যনবাদ এতো সুন্দর পোস্ট্ করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।