করোনা ভাইরাস বর্তমান বিশ্বজুড়ে এক মহা আতংকের নাম। বর্তমান বিশ্বে প্রভাব বিস্তারকারী ভাইরাসটির নাম হচ্ছে উহান নভেল করোনা ভাইরাস। ২০২০ এর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্স্বাস্থ্যসংস্থা WHO রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় “কোভিড-১৯”, যেটি মুলত ‘করোনা ভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বিশ্স্বাস্থ্যসংস্থা WHO বর্তমানে এই ভাইরাসটিকে সমগ্র পৃথিবীর জন্য মহামারী হিসেবে ঘোষনা করেছে। চলুন জেনে নেই করোনা ভাইরাস আপডেট, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধ এবং আমাদের করনীয় কি হবে?
প্রতিনিয়ত এই ভাইরাস তার জিনোম সিকোয়েন্স পাল্টানোর জন্য এর ভ্যাক্সিন বা প্রতিষেধক তৈরী প্রায় অসম্ভম হয়ে পড়েছে।
কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি স্থল হিসেবে চিনের উহান শহর কে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর এটি গণ সংক্রমন বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন দ্বারা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে।
এখন পর্যন্ত WHO এর তথ্য বলছে ২০০ টির অধিক দেশে করোনা প্রবেশ করেছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন দ্বরা।
করোনা ভাইরাসের প্রতিদিনের আপডেট থেকেই স্পস্ট বুঝা যাচ্ছে এই ভাইরাসের গন সংক্রমিত করার ক্ষমতা কত বেশী শক্তশালী।
আজকের করোনা আপডেট
জানতে ভিজিট করুনঃ https://corona.gov.bd/
করোনা টিকা/ভ্যাকসিন
করোনা ভাইরাসের টিকার নিবন্ধনের জন্য ভিজিট করুনঃ https://surokkha.gov.bd/
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কী?
এই ভাইরাস ধাতব বস্তু,খাদ্যদ্রব্য,ইত্যাদি থেকে সধারনত মানুষের হাতে এসে লাগে এবং হাতে থেকে নাক, মুখ শ্বাসনালী হয়ে ফুসফুসে আক্রমন করে। তাই স্বাভাবিক ভাবে বলা যায় এর আক্রমণ স্থল হচ্ছে ফুসফুস।
এর সব থেকে ভয়ানক ব্যাপার হল এটির সক্রমনের পরেও সংক্রমিত ব্যাক্তি কিছুই বুঝতে পারে না। যার ফলে হাচি, কাশি, বা হ্যান্ডশেক করার ফলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পরছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করার জন্য এটিই হচ্ছে এখন সব থেকে বড় অন্তরায়। কারন, এর বাহক বুজতেই পারছে না যে সে এটিকে বহন করছে।
যেহেতু আক্রান্ত ব্যাক্তির ফাইনাল স্টেজে পৌছার আগ পর্যন্ত লক্ষণ বলতে শুধু সাধারন হাচি,কাশি এবং গলাব্যাথা।
তাই এই ধরনের লক্ষণ সম্বলিত ব্যক্তিদের দ্রুত সংগনিরোধ বা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গন সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজেকে সম্পুর্ন ভাবে আলাদা করে ফেলা।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে করণীয় এবং বর্জনীয়ঃ
- অবশ্যই প্রতিবার খাবার আগে এবং বাইরে থেকে এসে প্রায় বিশ সেকেন্ড যাবত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- বাইরে গেলে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে এবং হাচি কাশি দেওয়ার সময় হাত বা মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে।
- যেখানে সেখানে থুতু বা কাশ ফেলা যাবে না।
- সামাজিক মেলামেশায় দুরুত্ব বজায় রাখতে হবে।
- আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন দেখা দিলে অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
- ডাক্তার এবং বিজ্ঞানিদের তথ্যমতে প্রচুর পানি এবং ভিটামিন “সি’ যুক্ত খাবার এর সংক্রমন কমাতে পারে।
- লক ডাউন এলাকায় প্রবেশ না করা এবং লক ডাউন এলাকা থেকে বের না হওয়া অন্যতম গুরুত্বপুর্ন কাজ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যে সমস্ত পদ্বতি অনুসরন করতে বলা হয়েছে সেগুলো মেনে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু রাখা। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করার অন্যতম শ্রেষ্ট এবং কার্যকর পদ্বতি হল আক্রান্ত এলাকা “লক ডাউন” করে রাখা।
করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গনসংক্রমণ যে কত ভয়াবহ হতে পারে তার সব থেকে ভয়ঙ্কর উদাহরন হচ্ছে ইতালি, স্পেন, আমেরিকা !
এই সমস্ত দেশে মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। করোনা ভাইরাসের গনংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহনে বিন্দু পরিমান ব্যত্যায় ঘটানোর কোন সুযোগ নেই।
Very Good and helpful article
Thanks for your kind review