করোনা শব্দটি সারা বিশ্বব্যাপী আলোচিত শব্দ।৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ চীনের উহান শহরে প্রথম কোভিড- ১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্র হয়।যা দ্রতগতিতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের পর ইতালিতে এর ভয়াবহ রুপ দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে একে মহামারি ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশের ৮ মার্চ প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।সারা বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৪.৪ % মারা গিয়েছে, ২৪% আক্রান্ত ব্যাক্তি সুস্থ হয়েছে এবং বাকীরা এখনও সুস্থ হয়নি।এই তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে সুস্থ হওয়ার পরিমান বেশী,তবু সবাই আতংকে আছে।এর প্রধান কারণ হল কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, ও জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ পরীক্ষামূলক কাছ শুরু করেছে।প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সচেতনতার মাধ্যমেই একে প্রতিরোধের কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ আরো অনেক গবেষনা প্রতিষ্ঠান। প্রতিরোধই পারে সারা বিশ্বকে এই মহামারি থেকে বাঁচাতে।
করোনা প্রতিরোধে করণীয়ঃ
- চীনের বেশ কিছু হাসপাতাল বলছে আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে ৬ ফুট দুরত্ব বজায় রাখতে।
- হাচি- কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করা।
- প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে না যাওয়া,গেলে মাস্ক ব্যবহার করা।
- বেশী জনজমায়েত পরিহার করা।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
- হ্যান্ড শেক না করা।
- বাহির থেকে এসে সাবান দিয়ে হাত, পা,ধৌত করা।
- হাত জীবাণুমুক্ত নাকরে মুখ,নাক,চোখে হাত না দেয়া।
- সরকারি নির্দেশনা মানা।
- সর্বোপরি ঘরে অবস্থান করা।
এছাড়া নিজের শরীরটাকে ফিট রাখতে হবে,যাতে শরীরে ইমিউনিটি ঠিক থাকে। কীভাবে—
- পরিমিত ঘুমের মাধ্যমে,মনটাকে সকল প্রকার টেনশন এবং স্ট্রেস থেকে মুক্ত রাখা।
- প্রচুর পানি পান করা,সাথে ফলের জুস,শরবত,ডাবের পানি হলে ভাল হয় ।
- বেশী বেশী শাক-সবজি খাওয়া। যেমন- লালশাক, গাজর,লাউ,পেপে ইত্যাদি। বিভিন্ন ফল কমলা,আংগুর,ইত্যাদি।
- এছাড়াও ভিটামিন c ও এন্টিএক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি যেমন -লেবু,আমলকি,কাচামরিচ।
- তাছাড়া শরীরটাকে বুষ্ট আপ করতে সহজ লভ্য কিছু রোগ প্রতিরোধী খাবার হচ্ছে, যেমনঃ মধু – কালিজিরা – গরম দুধ দিয়ে হলুদ বাটা/ গুড়ো – গরম দুধ আর রসুন – গরম পানি দিয়ে লেবুর রস – গরম পানি আর আদা – গরম পানি, দারচিনি ইত্যাদি।
আসুন সবাই সচেতন হই,এই মহামারিকে প্রতিরোধ করি।